স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই উপজেলায় অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির পর এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এছাড়া উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র, গুলিসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে নিহত যুবক আবু সাঈদের (৩৫) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আবু সাঈদ দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
এ বিষয়ে সোমবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও অস্ত্রের মহড়া চলতে থাকায় জননিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে গত ২২ জুন ২০২৫ তারিখে কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান চলাকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একরার হোসেন সমর্থিত সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকাযোগে পালানোর চেষ্টা করে। সেনাবাহিনীর টহল দল ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীরা পার্শ্ববর্তী গাদিয়ালা গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীকেও লক্ষ্য করে গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায় ও সন্ত্রাসীদেরকে প্রতিহত করে। পরবর্তীতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থল হতে মো. আবু সাঈদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। এছাড়াও তাজউদ্দীন, আমির উদ্দিন, হিরন মিয়া ও জমির মিয়াকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি একনালা বন্দুক, চারটি পাইপ গান, এক রাউন্ড তাজা গুলি, ছয়টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট এবং বেশ কিছু দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় যৌথবাহিনীর অভিযানটি শেষ হয়। উক্ত অভিযানে আটককৃত ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের নিকট হতে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এর পাশাপাশি উদ্ধারকৃত মৃতদেহের ময়নাতদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সাধারণ জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। আইন-বহির্ভূত যেকোনো কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগের নেতা একরার হোসেন ও একই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আতিকুর রহমানের মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরে দুই দিন ধরে গ্রামে উত্তেজনা চলছিল। উভয়পক্ষের মধ্যে গত শুক্রবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন ও গুলির ঘটনা ঘটে। এর আগেও দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্র প্রদর্শন হয়েছে প্রকাশ্যে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি
যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার, বন্দুক, পাইপগান, গুলিসহ গ্রেফতার ৪
- আপলোড সময় : ২৪-০৬-২০২৫ ০৭:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৪-০৬-২০২৫ ০৮:২৭:২৪ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ